এক নজরে
জাতীয় পর্যায়ে জনগণের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৫৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং পরবর্তীতে এই স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর ১৯৮০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান হলেন মহাপরিচালক যিনি সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে মোট জনবলের সংখ্যা ১,১৫,৫৩০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনগণের স্বাস্থ্য সেবা ব্যতীত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় নূতন নূতন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন, অগ্রগতি এবং এ ব্যপারে সকল প্রকার কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সকল কার্যক্রম জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত। জাতীয় পর্যায়ে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, স্নাতকোত্তর চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষায়িত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক হাসপাতাল এবং হেল্থ টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। জেলা পর্যায়ে সদর হাসপাতাল/ জেনারেল হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সংক্রামক হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক এবং মেডিকেল ট্রেনিং স্কুল সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও টিবি ক্লিনিকসমূহ সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। ওয়ার্ড/ মাঠ পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকমূহের মাধ্যমে সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
জেলা পর্যায়ে সদর হাসপাতাল/ জেনারেল হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক এবং মেডিকেল ট্রেনিং স্কুল সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বক্ষব্যাধি ক্লিনিকসমূহ সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। ওয়ার্ড/ মাঠপর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহের মাধ্যমে সকল চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য সেবা সমুহঃ-
১) মাঠ পর্যায়ে ইপিআই কার্যক্রম বাস্তয়ন (স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে)।
২) ডায়রিয়া ও এআরআই প্রতিরোধ (স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে)।
৩) ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতি ৬০০০ (ছয়) হাজার লোকের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা প্রদান।
৪) ০-১ বয়স পর্যন্ত শিশু এবং প্রত্যেক মায়েদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো।
৫) ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদেরকে বৎসরে ২ বার কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো।
৬) স্বাস্থ্য কর্মীদের এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডরদের মাধ্যমেমাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠকের
মাধ্যমে,কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টি, আয়োডিন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে
স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস